
ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন হবে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং । EEE
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্ম হয়েছে মূলত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্ষেপে অনেকেই চেনে EEE বা ইলেক্ট্রিক্যাল নামে এবং বাংলায় তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল।। ইলেক্ট্রন নিয়েই যার কাজ, নামের মাঝেই ধারণা পাওয়া যায় । EEE কে বলাহয় “Soul of Engineering” বা “প্রকৌশলবিদ্যার আত্মা”।
কেন পড়বে EEE
যদি Equation Solve করতে মজা লাগে,ফিজিক্স এর বিদ্যুতের চ্যাপ্টারগুলো অসহ্য না লাগে, তাহলে ইইই তোমাকে হতাশ করবেনা।যদি সার্কিট নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে মজা লাগে,রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ, হুইটস্টোন কার্শফের অঙ্ক করতে ভালো লাগে, কিংবা ফিজিক্স বা ম্যাথের জটিল জটিল সব অংকে আনন্দ খুঁজে পাওয় তাহলে বলবো ইইই শুধু তোমার ই জন্য।আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হবার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হলো ইইই।
EEE এর শ্রেণীবিভাগ???
অনেক বড় পরিসরেই বিস্তৃত ইইই এর শ্রেণী বিভাগ। তবে আপাত দৃষ্টিতে EEE ফ্যাকাল্টিকে ভাগ করা যায় চারটি উপশ্রেণীতে।
1.Power (পাওয়ার)
2.Electronics (ইলেকট্রনিক্স)
3. Communication (কমিউনিকেশন)
4.Computers (কম্পিউটার)
যেখানে Power, Electronics এবং Communication কে ফোকাস করে এবং Computers এর প্রাথমিক প্রয়োজনীয় ধারণাকে সংমিশ্রিত করে গঠিত EEE বিষয়টি।
(এছাড়াও শুধুমাত্র Electronics এবং Communication কে ফোকাস করে গঠিত ECE/ETE বিষয়টি প্রায় ৭০% ক্ষেত্রেই EEE এর অনুরূপ।)
EEE এর উচ্চশিক্ষা
- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট- www.buet.ac.bd
- রাজশাবী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)- www.ruet.ac.bd
- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েট- www.cuet.ac.bd
চাকুরীর বাজারে EEE???
EEE এর চাকরির বাজার নিয়ে কোন কথা হবেনা। EEE হলো একটা Everlasting Subject ! যত দিন পৃথিবী টিকে থাকবে ততদিন এর ডিমান্ড থাকবে। দেশে থাকতে পারলেও যেমন সোনায় সোহাগা, তেমনি দেশের বাইরে যেয়ে পড়াশোনা করারও অফুরন্ত সুযোগ। দেশে বিদেশে সব জায়গাতেই উঁচ্চমর্যাদা। চাকরিনেই, হাজার হাজার স্টুডেন্ট হয়ে গেছে, এমন শোনা কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। যদি যোগ্যতা আর মেধা থাকে, তবে EEE পড়ে একদিনও বেকার বসে থাকতে হবেনা বরং চাকরিই তোমাকে খুঁজে নিবে।